মোঃ জনি হোসেন, করিমগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চাঞ্চল্যকর অটোচালক শরীফ হত্যা মামলার আসামি সেলিম (৩৫) কে মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্ৰেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন পাগাড় এলাকার ফকির মার্কেট থেকে সেলিম মিয়াকে গ্রেফতার করে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ। সেই সাথে নিহত শরীফের ছিনতাই হওয়া ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটিও উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি সেলিম মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বৌলাই ইউনিয়নের পাটধা কাঁঠালিয়া পাথারিয়া পাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র। বুধবার সকালে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গত রোববার (২১ মে) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর বাজার থেকে তার দুলাভাই আক্কাছ মিয়ার সহায়তায় ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা কিনেন শরীফ। বিকেলে করিমগঞ্জ থানাধীন গুণধর এলাকার খয়রাতের মোড়ের একটি গ্যারেজ থেকে অটোরিক্সার কিছু মেরামত কাজ শেষে ভাড়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় শরীফ৷ নিখোঁজের পরের দিন সোমবার (২২ মে) সকালে গুণধর এলাকার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সড়কের নলীন ব্রিজের নীচ থেকে শরীফের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ। শরীফকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার অটোরিকশাটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় নিহতের বাবা মতিউর রহমান করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেন পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে করিমগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে করিমগঞ্জ থানার চৌকস টিম গাজীপুর ও ঢাকার নানান জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানার পাগাড় এলাকার ফকির মার্কেট থেকে সেলিম মিয়াকে গ্ৰেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি গ্যারেজ ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে ৷ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যাত্রীবেশে ৩/৪ জন অটোরিক্সায় উঠে কৌশলে নীরব ও নির্জন এলাকায় নিয়ে যেয়ে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে শরীফকে হত্যা করে৷ পরবর্তীতে অটোরিক্সাটি নিয়ে সদর থানাধীন বিন্নাটি এলাকার একটি গ্যারেজে চার্জ দিয়ে গাজীপুর নিয়ে চলে যায়৷ আসামি সেলিমকে বুধবার বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply